ছবিতে মাধবপুরে ধান ক্ষেতে এক কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা/সুপ্রভাত মিশিগান
মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) ১৩ এপ্রিল : ধানের শীষে কত না স্বপ্ন কৃষকের, সেই ধান পাকার আগেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাধবপুরে আকাশসম স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা ধার দেনা করে আগাম জাতের ব্রি ২৮ ধান রোপন করে ভাল ফলনের আশায় ছিল। কিন্তু শীষ আসার পর থেকেই শতশত কৃষকের স্বপ্ন যেন মুহূর্তে ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেছে। ধানের চিটা হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। ধান নষ্ট হওয়ায় সারা বছর খাদ্যের যোগানে দিশেহারা এখন ক্ষতিগস্ত কৃষকরা।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১১ হাজার ৯ শত ৯০ হেক্টর ভুমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮, ১৯শত একর, ৮১ প্রজাতির ধান, ১ হাজার হেক্টর, ২৯ জাতের ২১ শত হেক্টর বাকি অন্য অন্য জাতের ধানও আবাদ করা হয়। গত বছরও ব্লাস্টার রোগে ব্রি-২৮ বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ব্রি-২৮ ধান রোপন না করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু কৃষক তা মানছেন না। দুলাল মিয়া নামে একজন কৃষক জানান, ব্রি ২৮ধান আগাম ঘরে উঠানো যায়। ঝড় বৃষ্টির হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে আগাম জাতের ২৮ ধান চাষাবাদ করেন অনেক কৃষক। এ ধানের চাল সরু হয় ও খেতে সু-স্বাদু একারনে কৃষকরা ২৮ ধান করে। এবছর ধান গাছে ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে শীষ বের হয়ে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার কৃষকরা হতাশ।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন যে, জমি এখনও ভাল আছে আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছে এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে অন্য অন্য ধানের ফলন ভাল হয়েছে। মাধবপুর উপজেলার নির্বাহি অফিসার মনজুর আহসান বলেন, এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে প্রায়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ধর্মঘর ইউনিয়নের চেয়াম্যান ফারুক আহম্মেদ পারুল জানান. আমার ইউনিয়নের অনেক ফসলি মাঠে ব্রি-২৮ ধান ব্লাস্টার রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং কৃষদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan